মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়ে ধীরে ধীরে পুরো এসএস রোড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
আরো পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলছে
সংঘর্ষের জন্য প্রতিপক্ষকে দায়ী করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসসহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে এস এস রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে নিহত এনামুল হক বিজয়ের জন্য দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা চলছিল। এ অবস্থায় স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক লোক মিছিল নিয়ে স্মরণসভাস্থলে এসে হামলা চালান। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় আমাদের অন্তত ২০/২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি জানান তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না মোবাইল ফোনে বলেন, ওই মিছিলে আমি ছিলাম না। তখন আমি বাসায় ছিলাম। তবে আমি শুনেছি, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে দোয়া মাহফিলে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমরা প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকসহ আমাদের অন্তত ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোরকান শিকদার বলেন, জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্মরণ সভা চলাকালে একাংশের নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার সময় তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
এসআই