ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের চরম অবহেলায় করোনা ছড়িয়েছে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
সরকারের চরম অবহেলায় করোনা ছড়িয়েছে: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: সরকারের চরম অবহেলা, অবজ্ঞা, অজ্ঞানতার কারণেই আজ করোনা পরিস্থিতি এ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১০ জুলাই) বিকেলে উত্তরার নিজের বাসা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সিলেটে ‘এমএ হক স্বাস্থ্যসেবা’ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

হজ ক্যাম্পে আইসোলেশনে থাকা প্রবাসীদের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে যারা ফেরত আসছেন তাদের স্ক্যানিং টেস্টে সবাই তারা করোনামুক্ত।

অথচ বিবিসি বাংলা বিভাগের একজন সাংবাদিক সেই হজ ক্যাম্পে গিয়ে যাত্রীদের মধ্য একজনকে জিজ্ঞাসা করেন। যাত্রী জবাবে বলেন, আমাদের কোনো স্ক্যানিংই হয়নি।  

তিনি বলেন, সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার কোনো দরকার নেই। আমাদের নিজেদেরই চেষ্টা করতে হবে বাঁচার জন্য, আমাদের নিজেদের চেষ্টা করতে হবে যেন এটা (করোনা ভাইরাস) না ছড়ায়, এই সংক্রামণ যেন না বাড়ে। এই সরকারের যেহেতু জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, জনগণের জীবন-জীবিকার প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই, সেই কারণে তাদের দিকে তাঁকিয়ে থেকে বাংলাদেশের অগণিত মানুষ তারা এই ভয়াবহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবে না।

রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান সাহেদ সাহেব কোনো পরীক্ষা না করেই করোনা টেস্টের রেজাল্ট দিচ্ছেন। এটা তো একদিকে জীবনের প্রশ্ন, অন্যদিকে সমস্ত বিশ্বে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে, এটা অলরেডি গ্লোবাল মিডিয়াতে চলে গেছে। এটা একটা না, এমন বহু ঘটনা আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে দেখলাম, একজন মিঠু সাহেব যাকে বলা হচ্ছে তিনি নাকি গোটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে গিলে ফেলেছেন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর থেকে মুক্তির একটি মাত্রই পথ, সেই পথ হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

‘আপনারা সবাই জানেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। মাত্র ছয় মাস স্থগিত করে তাকে বাসায় রাখা হয়েছে। সেখানে তাকে (খালেদা জিয়া) বলা হয়েছে যে, তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না। অথচ তার চিকিৎসাটাই এখন বিদেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ’

দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের উদ্যোগে সদ্যপ্রয়াত এমএ হকের স্মরণে ‘এমএ হক স্বাস্থ্য সেবা’র এ কর্মসূচি হয়। গত ৩ জুলাই চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জেলার সাবেক সভাপতি এমএ হক মারা যান।

সিলেট জেলা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ডা. শামীমুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কায়েস লোদীর পরিচালনায় ভার্চ্যুয়াল এ আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হাসান জীবন, কলিম উদ্দিন মিলন, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা সভাপতি আলী আহমদ, প্রয়াত এমএ হকের ছেলে ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হকসহ সিলেট মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।