তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কীভাবে প্রজাতন্ত্রের একটি মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই না করে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এভাবে চুক্তি করতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পদত্যাগ করে মানুষের জীবন রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এ দুর্নীতিবাজরা বহাল থাকলে মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিম ও জেকেজি চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর মতো প্রতারক চক্রকে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ করে দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুর্নীতিকে উসকে দিয়েছে। ছয় বছর ধরে অনুমোদনহীন হাসপাতালকে করোনা টেস্টের চুক্তি এবং করোনা টেস্টের সনদ দিয়ে ডা. সাবরিনা চৌধুরীরা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা স্বাস্থ্যখাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ প্রতারকের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তিই প্রমাণ করে দেশের চিকিৎসাসেবা কোন পর্যায়ে? স্বাস্থ্যখাতের সীমাহীন দুর্নীতির সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ রিজেন্ট হাসপাতালের কোভিড-১৯ টেস্ট জালিয়াতি ও জেকেজির করোনা সনদ বাণিজ্য।
মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, সাহেদ ও তার মদদদাতাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলে এবং স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে না পারলে জনগণ তাদের জীবন রক্ষায় রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এমএইচ/আরবি/