ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, জনগণের ভোট চুরি করে যে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে, সেই ভোট চোর সরকার আইন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছোট চোরদের ধরতে হলে বড় চোরদের অনুমতি নিতে হবে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রয়াত শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল আউয়াল খানের রূহের মাগফিরাত কামনা করে 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন' এর উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিব উন নবী বলেন, ‘জনগণের ভোট চুরি করে রাতের অন্ধকারে বাক্সভর্তি করে যারা ক্ষমতায় বসেছেন, এই করোনা মহামারির সময়ও তারা আইন করেছেন। যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির কারণে সারা বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা নিচু হয়ে গেছে, সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে হাসপাতালগুলোতে চোর আছে সেই চোরদের ধরতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ ছোট চোরকে ধরতে হলে বড় চোরের অনুমতি নিতে হবে। এমনি একটি লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই অসমাপ্ত রেখে গেছেন শফিউল বারী বাবু, আমরা যারা বাবুর সহযোদ্ধারা আছি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করে এই সরকারের পতন ঘটাব। ’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মানুষ এক জায়গায় একত্রিত হতে চায় না, সেখানে জীবনের ভয় উপেক্ষা করে বাবুর জানাজায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করেছিল বাবু কতটা জনপ্রিয় ছিল। আজকে বলতে গেলে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু আবেগ আমাদের থামিয়ে দেয়। বাবু কখনও কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এমন দৃশ্য কেউ দেখেনি। দলের জন্য বাবুর আন্তরিকতার কোনো তুলনা নেই। আমাদের নেত্রীর আদালতে হাজিরার সময় প্রতিদিন আমাদের পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে হতো। সেই ব্যারিকেড ভাঙার সামনের কাতারে যে মুখটি দেখা যেত সেটা ছিল শফিউল বারী বাবুর মুখ। ’
তিনি বলেন, ‘ভালো সময় অনেককে পাওয়া যায়। কিন্তু খারাপ সময়ে সবাইকে পাওয়া যায় না। অনেকে অসুস্থ হয়ে যান। অনেকের নানা রকমের সমস্যা থাকে। অনেকে সেটিংয়ে চলে যান। কারণ সেটিংয়ে গেলে ভালো থাকা যায়। বাবুরা কখনও সেটিংয়ে যাননি। শফিউল বারী আর ফিরে আসবেন না। কিন্তু তার স্মৃতি আমরা ধারণ করে রাখবো। তার অসমাপ্ত লড়াইকে আমরা সফল করতে বদ্ধ পরিকর। '
আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পরে শফিউল বারী বাবু ও আব্দুল আউয়াল খানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
এমএইচ/এমএইচএম