ঢাকা: সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে গোটা পুলিশ প্রশাসন তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। মহামারি করোনা মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসনের মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে, সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালনের অসাধারণ ভূমিকাকেও ম্লান করে দিয়েছে।
শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪৫তম পুনর্গঠন দিবসে পদার্পণ উপলক্ষে পল্টন প্রধান কার্যালয়ে দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় নেতারা এ মন্তব্য করেন।
সভায় নেতারা বলেন, সত্যিকার অর্থে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সীমাহীন দুর্নীতি, একদলীয় গণতন্ত্র, বিরোধীদলকে বিকল করে রাখা, ভোটার বিহীন নির্বাচন, রাতের আধারে ভোট হয়ে যাওয়া, মত প্রকাশে স্বাধীনতার অভাব ইত্যাদি কারণে সাধারণ জনগণের মনে রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের নিঃস্পৃহতা ও বিরাগ তৈরি হয়েছে।
সভায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সুবিচারের দাবি জানানো হয়। প্রদীপ-লিয়াকতদের মতো পথভ্রষ্টদের জন্যই প্রশাসনে যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবক তারাও আজ বিতর্কিত। প্রশাসনিক পদবী ও পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্য প্রদীপ-লিয়াকতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি ওঠে। তারা বলেন, এটাই হতে পারে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে আয়োজিত সভায় আরও বক্তব্য দেন- দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, নূর আলম, আব্দুল আলিম, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
এমএইচ/এনটি