ঢাকা: রাজনৈতিক কারণে বিএনপির কাকে, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান রাজনৈতিক কারণে কাকে, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা বলুন?
সোমবার (১০ আগস্ট) ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে এ প্রশ্ন জানতে চান তিনি।
তিনি বলেন, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না। তাহলে বিএনপি সমর্থিত কোনো অপরাধী গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা এদেশের রাজনীতিতে রক্তখাত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা আরেক ষড়যন্ত্রের অংশ।
বায়দুল কাদের বলেন, দেশে অসংখ্য নজির আছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের। শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে। কোথাও রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? যারা চট্টগ্রামের চিহ্নিত অপহরণকারী বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি- তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।
অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের এ সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা এবং বাসাবাড়িতে অবস্থান করায় শিশু-কিশোর এবং তরুণদের মানসিক চাপ বেড়েছে। সরকার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভিক্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে অনলাইনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সরকার যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। আমি অভিভাবকদের ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি।
সড়কনির্মাণে গুণগতমান বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার আগে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীকে নিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে প্রকৌশলীদের তদারকি আরও নিবিড় হতে হবে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
এসময় ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসানসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এসকে/ওএইচ/