ঢাকা: ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৬ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি এখনও চারপাশে। উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা এ দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর।
তিনি বলেন, সকল বাধা অতিক্রম করে দেশের বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই। সতর্কতার পাশাপাশি আমাদের ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এখানে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর ঠাঁই নেই। সকল ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে জনগণের ভালোবাসা, সমর্থন নিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে চলমান যাত্রা, তা এগিয়ে যাবে অদম্য গতিতে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি যে নির্যাতন-নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার কথা বলে, তারা কি সবকিছু ভুলে যেতে চান? তারা ভুলে গেলেও জাতি ভুলে যায়নি। তাই বলব, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না। বিএনপি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দুটি অনেকটাই সমার্থক। তাদের সময় দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। তাদের মুখে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ একই কথা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খ ম জাহাঙ্গীর, ঢাকা মহানগন উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমাস সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফ জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২০
এসকে/এমজেএফ