ঢাকা: গণফোরামের একটি অংশের নেতারা বর্ধিত সভা করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের কাউন্সিল ডেকেছেন। তাদের বিষয়ে দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ওদের বর্ধিত সভা ডাকার কোনো বৈধতা নেই।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণফোরামের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে একাংশের বর্ধিত সভা ও আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গণফোরাম সভাপতি এ মন্তব্য করেন।
ড. কামাল বলেন, ওদের কোনো সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং বৈধতা নেই এই ধরনের মিটিং করার। এই মিটিংয়ের সাথে আমাদের দল গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই্। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি আমাদের দলের কোনো সিদ্ধান্ত না। যেহেতু এটি আমাদের দলের বিষয় না সেজন্য এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
গণফোরামের একাংশের ডাকা ওই বর্ধিত সভায় বলা হয়েছে আপনাকে কিছু লোক ভুল বুঝাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এসব কথা তারা বলার জন্য বলছে। এটা তাদের একটা কায়দা-কৌশল। এসব বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তারাই দলে বিশঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এই যে মিটিংটা হলো এটা গণফোরামের মিটিং না। তারা গণফোরাম থেকে চলে গিয়ে সভা করতে পারেন কিন্তু গণফোরামকে ক্ষতি করে যাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। তারা নিজেদের গণফোরাম থেকে সরিয়ে নিয়েছেন এই অগঠনতান্ত্রিক কাজটি করার মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ সভা ডাকতে পারেন না। তারা এরকম সভা করে গর্হিত কাজ করেছেন। এই সভার সাথে গণফোরামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মিটিংটা করে তারা নিজেদের গণফোরাম থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গত কমিটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদম সুব্রত চৌধুরী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে একাংশ গণফোরামের ব্যানারে বর্ধিত সভা করে। পরে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াসহ ৪ জনকে বহিষ্কার করার কথাও বর্ধিত সভায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:
২৬ ডিসেম্বর কাউন্সিল ডেকেছে গণফোরামের বিদ্রোহী গ্রুপ
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ