টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা ও তার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ঘাটাইল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন- ঘাটাইল জিবিজি কলেজছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) আবু সাঈদ রুবেল, ঘাটাইল সদর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহুরুল ইসলাম ও রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। মামলায় অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার অনুসারী। অপরদিকে, আসামিরা আমানুরের বিরোধী অংশের নেতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওরফে লেবুর সমর্থক। মামলার এক নম্বর আসামি আবু সাঈদ রুবেল ২০১৬ সালে সন্ত্রাসী হামলায় হাতের একটি আঙুল হারান এবং পঙ্গু হয়ে যান। সেই মামলায় ওই সাবেক সংসদ সদস্য ও তার কয়েক অনুসারীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন।
মামলায় তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান অভিযোগ করেন, সোমবার (০৯ নভেম্বর) ঘাটাইল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশে তিনি ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের দিকে রওনা হন। পথে দেশীয় অস্ত্রসহ তার পথ রোধ করে তাকে মারধর করেন এবং হত্যার উদ্দেশে গলা চেপে ধরেন রুবেল, জহুরুল ও শহিদুল। একপর্যায়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য আনা তার কাছে থাকা ব্যাগে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান হামলাকারীরা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাই তাকে প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখতেই দলের প্রতিপক্ষ অংশের নেতাদের ইন্ধনে তার ওপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার আসামি আবু সাঈদ রুবেল বাংলানিউজকে জানান, সোমবার তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহানের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সম্পর্কে অশ্লীল বক্তব্য দেওয়ায় তার সঙ্গে তর্ক হয়ছিল।
সাঈদ রুবেল পাল্টা অভিযোগ করেন, তিনি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে এই মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এসআরএস