ঢাকা: রাজধানীতে একদিনে ১১টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপিকেই দায়ী করছে সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের ধারণা, মানুষকে আতঙ্কে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এমন সন্ত্রাসী কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে আকস্মিকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ১১টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশে বিগত কয়েক বছর বাস বা যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি।
২০১৫ সালে সরকারের বিরুদ্ধে টানা ৯০ দিন অবরোধের কর্মসূচি চালিয়ে যায় বিএনপি। সে সময় ব্যাপকভাবে যানবাহনে পেট্রোলবোমা ছুড়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। বৃহস্পতিবারের ঘটনাও ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলে সরকার ও আওয়ামী লীগ মনে করছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেটনি। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপির এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। ”
সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো আন্দোলন দাঁড় করাতে পারেনি। মানুষের সমর্থন পায়নি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। করোনার মধ্যেও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বিদ্যমান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এ ধরনের নাশকতা চালানো হচ্ছে। যাতে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “এটা বিএনপির যুব দলের নেতারা ঘটিয়েছেন, এ কথা বিএনপির এক নেতার ফেনালাপেই শোনা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নিশ্চয়ই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “আন্দোলন করতে না পেরে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। পরিকল্পিতভাবে তারা এটা করছে। তবে এসব করে তারা অতীতেও কিছু করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এসকে/এজে