ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প খুঁজছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
‘দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প খুঁজছে’

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পল্লীবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে ত্রিশ বছর যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করেছে তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প খুঁজছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টি হচ্ছে জনসাধারণের একমাত্র বিকল্প শক্তি।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোন ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করেনা, জাতীয় পার্টি কখনোই কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলোনা। দেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহতের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।  

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা গণফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম টিটুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের ডাক্তারি সার্টিফিকেট বিদেশে গ্রহণ করছে না। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন, হঠাৎ করে কেউ কেউ গ্রেফতারও হচ্ছেন। কিন্তু কিছুদিন পর আবার দুর্নীতিবাজরা কোর্ট-টাই পড়ে ঘুরে বেড়ান।  

জিএম কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অভিযানে বিচার বর্হিভূতভাবে কয়েকশো মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে কিন্তু মাদকের প্রসার কি কমেছে? কেউ দাবি করতে পারছেনা দেশে মাদকের বিস্তার রোধ হয়েছে।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতির মুল কর্মকাণ্ডে রয়েছে নির্বাচন। কিন্তু দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে। নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা স্পষ্ট। এ কারণে, রাজনীতিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাই অনেকেই রাজনীতি থেকে ঝড়ে পড়ছে।

যোগদান অনুষ্ঠানে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এম.এম. নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. আজম খান, রফিক মেম্বর।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলমগীর সিকদার লোটন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শফি রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদিন, হুমায়ুন খান, মাখন সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নুরুল হক নুরু, মাহমুদুল আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক শেঠ, শফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, অ্যাডভোকেট মনোয়ার, মো. হারুন অর রশীদ, জহিরুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
এসএমএকে/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।