নীলফামারী: বিএনপি থেকে চার চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেয়র এবার নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী। জনপ্রিয় ওই নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন সরকারকে দলের হাই কমান্ড কেন মনোনয়ন দেয়নি? এ নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা।
১৫টি ওয়ার্ড গঠিত সৈয়দপুর পৌরসভা হচ্ছে রংপুর বিভাগের একটি বৃহৎ পৌরসভা। এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৯৩ হাজার ৮৯৩ জন। এদিকে শহরে রয়েছে ২২টি আটকেপড়া পাকিস্তানি ক্যাম্প (বিহারী ক্যাম্প)। এছাড়াও এখানে অবাঙালি ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। যাদের বেশিরভাগই অস্বচ্ছল ও দিনমজুর শ্রেণির লোক। তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় আমজাদ হোসেন সরকার। অথচ তিনি এবার বিএনপির মনোনয়ন পাননি। পেয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুর রহমান।
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সৈয়দপুর কলেজের সাবেক শিক্ষক হানিফ উদ্দিন জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার জন্য কেন্দ্রীয় থেকে যে মনোনয়ন এসেছে তা চরমতম ভুল সিদ্ধান্ত। আমজাদ দলের পরিক্ষীত ও জনপ্রিয় নেতা। তার বিকল্প ওবায়দুর রহমান হতে পারেন না। তার মতো বিএনপির অন্য নেতার মধ্যেও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল গফুর সরকার বাংলানিউজকে বলেন, কিছুই বলার নেই এ নিয়ে। যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। ধানের শীষের প্রার্থী পরিবর্তন হোক এমন কথা বলেছেন অনেকেই।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র ও প্রার্থী অসুস্থ থাকায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দল যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। আমার জনগণ যা ভালো মনে করবে তাই করবেন। জনগণের আশা পূরণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।
এদিকে সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হচ্ছেন রাফিকা আকতার জাহান (আওয়ামী লীগ), অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুর রহমান (বিএনপি), সিদ্দিকুল আলম (জাপা), হাফেজ নূরুল হুদা (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন বর্তমান মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার, রবিউল ইসলাম রবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এনটি