ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মেহেন্দিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
মেহেন্দিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায়  আ.লীগ নেতার মৃত্যু

বরিশাল: নির্বাচনী সহিংসতায় বরিশালে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আফসার সিকদারের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

আফসার সিকদার মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পেশায় মোটর সাইকেল মেকানিক ছিলেন।

এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় কেউ অভিযোগ না করলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাকি কাওছার ওরফে নিপ্পন তালুকদার। তার প্রতীক উটপাখি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল হক জোমাদ্দার। তার প্রতীক পাঞ্জাবি। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনের আগে থেকেই বিরোধ চলছিল।

কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল ইসলাম জমাদ্দার বাংলানিউজকে জানান, আফসার সিকদার ওয়ার্ডে আমার হয়ে নির্বাচনী কাজ করতেন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিনের কর্মী ছিলেন। গত নির্বাচনেও তিনি আমার কর্মী হয়ে কাজ করেছেন। যা প্রতিপক্ষরা মেনে নিতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমার কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজ রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমার বাসা থেকে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশে বের হয়ে যান। পথিমধ্যে তিনি মেহেন্দিগঞ্জ পৌর এলাকার আরসি কলেজের সামনে একটি সেলুনে যান। এ সময়ে নিপ্পন তালুকদার ও তার সহযোগী রাকিব পোদ্দার এসে ফয়েজের ওপর হামলা করেন। ফয়েজ বিষয়টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফসারকে জানান। এর কিছুক্ষণ পর আফসার ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই রাকিব ও নিপ্পন তাকেও মারধর করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আফসারকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে সকাল ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

মরদেহ দাফনের পর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান নুরুল।

এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান আওয়ামী লীগ নেতা আফসার সিকদারের ছেলে মো. রিমন সিকদার।

মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনে তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আফসারকে প্রতিপক্ষ নিপ্পনের ওপর হামলা করতে রাস্তার পাশের ইট তুলতে যান। এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোর ধাক্কায় আফসারের মাথায় আঘাত পান। এরপর মৃত্যু হয় তার। তবে এটিই যে সত্য ঘটনা তা নাও হতে পারে। তবুও আমরা বিষয়টির তদন্ত করে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ১৮, ২০২১
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।