ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আইন করে ইসি গঠন করা হোক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
আইন করে ইসি গঠন করা হোক

ঢাকা: সরকার একক সিদ্ধান্তে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিবাচন কমিশন (ইসি) গঠন করলে রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ইসি গঠন করা উচিত।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‌‌গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এ অর্ন্তভুক্ত ৯০বি ধারাসহ সব কালো আইন বাতিল ও সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইসি গঠনে আইন করার দাবিতে বাংলাদেশ জনতা ঐক্য আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত নেতারা এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ সম্পর্কে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মতামত চাওয়া হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ যুব শক্তি মনে করছি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ আইনের ৯০বি ধারাসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ গণনেতৃত্ব বিকাশের অন্যতম অন্তরায়। প্রস্তাবিত আইনের অধিকাংশ ধারা, উপ-ধারা দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, পরপর দু’টি সার্চ কমিটির ইসি গঠনের ফলাফল মানুষকে হতাশ করেছে। ইসি দলীয় সরকারের না নির্দলীয় সেটাও গুরুত্বহীন অনেকটা। কারণ মেধাহীন, মেরুদণ্ডহীন মানুষদের যদি সাংবিধানিক পদে বসানো হয় তাদের আচরণে, কথাবার্তায় জাতিকে সংকটের আবর্তে পড়ে হিমসিম খেতে হয়। এখনও যে সময় আছে, তাতে একটি আইন করা সম্ভব। কারণ, এই আইনের একটি খসড়া করা আছে। এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি এই খসড়া করেছিল।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে একটি আইন করে ইসি গঠন করা হোক। আইন করার মতো সময় এখনও আছে। সরকার আন্তরিক হলে আইন করা সম্ভব।

গণ আজাদী লীগ মহাসচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ খান বলেন, স্বাধীন ইসি এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্তম্ভ। আমাদের প্রত্যাশা দেশে সুস্থ ধারার গণতন্ত্রের চর্চা বজায় রাখতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ আইনের ৯০বি ধারাসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংগঠনের সভাপতি মো. আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খন্দকারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, জাতীয় লীগ সভাপতি ড. ইফতেখার ফুয়াদ, কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, বিএনজে চেয়ারম্যান এইচ সিদ্দিকুর রহমান খোরশেদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
এমএইচ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।