ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাজাকার পুত্রকে নৌকায় মনোনয়ন দেয়ায় প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজাকার পুত্রকে নৌকায় মনোনয়ন দেয়ায় প্রতিবাদ মানববন্ধন।

মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাজাকার পুত্রকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় মানববন্ধন করেছেন বিনোদপুর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সদস্যরা।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিনোদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ২ শতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান সংগ্রাম, বিনোদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাকী বিল্লাহ।

বাকী বিল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বাবা ইসরাঈল মোল্লা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার দাবি বিনোদপুরের রাজাকার চাঁদ আলী শিকদারের ছেলে শিকদার মিজানুর রহমানকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। শুধু তাই নয়, তাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে নৌকা প্রতীক দেওয়া আরও বেশি লজ্জাজনক। রাজাকারের ছেলে কখনো রাজনীতি করতে পারে না, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের। তাই এই মানোনয়ন বাতিলের জন্য আমরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি’।

তিনি আরো বলেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। সে সময় আমরা একইভাবে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই একই বিষয়ে আবারো মানববন্ধন করতে হলো’।

বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড বার বার ঘোষণা দিয়েছে কোনো রাজাকার কিম্বা রাজাকারের সন্তানকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এমনকি দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারপরও মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর ইউনিয়নে কিভাবে রাজাকার পুত্র মিজান শিকদার বার বার মনোনয়ন পাচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি না। তার বাবা একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার। যার ক্রমিক নম্বর ৯৩।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, ‘আমার বাবা চাঁদ আলী শিকদার আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ৬০ এর দশকে তিনি মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ৮৪ সালের পর থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত আমার বাবা জেলা কৃষক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান হিসেবে ২ বার নির্বাচিত হয়েছেন। পারিবারিক সূত্রেই আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। বর্তমানে বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমার বাবা রাজাকার ছিলেন এরূপ কোনো তথ্য প্রমাণ পাইনি। বরং তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বিএনপি ও এরশাদ সরকার আমলে কারাবরণ করেছেন’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।