ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাগুরায় নির্বাচনী প্রচারের সময় হামলা, মোটরসাইকেলে আগুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
মাগুরায় নির্বাচনী প্রচারের সময় হামলা, মোটরসাইকেলে আগুন

মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পৃথক ঘটনায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় সদস্য প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় বিনোদপুরে অগ্নিসংযোগে একটি মোটরসাইকেল ভষ্মিভূত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ও বিকেলে হামলার দুটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহত ৬ জন ও তাদের স্বজনেরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দীঘা ইউনিয়নের নাগড়া বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী রেজা (টেলিফোন) ১০-১৫ জন সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মিয়ার (নৌকা) সমর্থকদের মিছিল অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে ১০-১৫ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আলী রেজার সমর্থক বাকি মোল্যা (৫৩), রবিউল ইসলাম ডাবলু (৪৪), মনিরুল ইসলাম মোল্যা (৩৫) ও খন্দকার আলী আসগরসহ (৪০) ছয়জন আহত হন। এদের চারজনকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে (তালা মার্কা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে, বুধবার বিকেলে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মিজানুর রহমানের (নৌকা) সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম পিকুলের (ঘোড়া মার্কা) চারজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে রেজাউল ইসলাম ফকির ওরফে রফিকুল (২৮) ও সেলিম মোল্যাকে (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এসময় রেজাউল ইসলাম ফকির ওরফে রফিকুলের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে আসে।

জানতে চাইলে মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বাংলানিউজকে বলেন, বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারের সময় কয়েকজনের ওপর হামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মিজানুর রহমান ও দীঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মিয়া ওই হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, তাদের হেয় করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

২৮ নভেম্বর মহম্মদপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। এতে  আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।