ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কমিটিহীন শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ, বাড়ছে বিভক্তি

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
কমিটিহীন শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ, বাড়ছে বিভক্তি

শাবিপ্রবি (সিলেট): দীর্ঘ ৫ মাস ধরে কমিটিহীন থাকায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন উপদল ও বিভক্তি। ফলে দিন দিন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে ছাত্রলীগের নেতৃত্বশূন্য এই ইউনিট।

পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মাঝে পুঞ্জীভূত হচ্ছে হতাশা ও ক্ষোভ।

সবশেষ ২০১৩ সালের ৮ মে সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থকে সভাপতি ও ইমরান খাঁনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মেয়াদ উত্তীর্ণের দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মে ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এই কমিটি ছিল দীর্ঘ আট বছর। চলতি বছর ১৭ জুন সেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এছাড়া ২০১৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের আমলে ক্যাম্পাসে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন কমিটি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও অদৃশ্য কারণে তা হয়নি।

খুব শিগগিরই কমিটি দেওয়া হবে, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির এমন আশ্বাসে বুকে আশা বাঁধছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটিতে পদ-পদবি পাওয়ার আশায় নিজেদের অবস্থান জানান দিতে অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসে সক্রিয় হচ্ছেন। অনেকে আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ফেসবুকে ছবি দেওয়া ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন।

বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ৬টি গ্রুপ, ক্যাম্পাসের বাইরে ২টি গ্রুপ এবং ১৭টির অধিক সাব গ্রুপের সক্রিয় অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। এসব গ্রুপে ৩০ জনের বেশি নেতা রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মূল সারির নেতা রয়েছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন।

অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় নেতাদের কথা মানছে না অনেক কর্মীরা। ফলে কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে এই ইউনিটে।

এদিকে ক্যাম্পাসে বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্ন গ্রুপ বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্মদিন পালন, প্রোগ্রাম, মিছিল-মিটিং, শোডাউনসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পালন করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। তাছাড়া বিভিন্ন দলীয় প্রোগ্রামগুলো পালন করতে এসে অনেক নেতাকর্মীদের মাঝে আগে পিছে দাঁড়ানো নিয়ে ঠেলাঠেলি, হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকটি ইউনিটের নেতাদের অভিযোগ, কমিটি না থাকার সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন শিক্ষক ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। ফলে গ্রুপ থেকে তৈরি হচ্ছে সাব গ্রুপ, বাড়ছে অন্তর্কোন্দল। কোনো কোনো গ্রুপকে কাছে টানা হচ্ছে। যারা প্রশাসনের কথামতো চলছে না তাদের দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

শাবিপ্রবির সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা শাবিপ্রবি শাখা নিয়ে কাজ করছি। শিগগিরই কমিটি দিয়ে দেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।