ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ভোলায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৩২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
ভোলায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৩২ ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা

ভোলা: ভোলায় গণসংযোগকালে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ৩২ জন।

এদের মধ্যে আহত ১২ জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টা থেকে দিনগত ১২টা পর্যন্ত ভোলা সদরের শিবপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে নির্বাচনী অফিস ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রতনপুর ও শান্তিরহাট বাজারে ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা বিরাজ করলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

সংঘর্ষ নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছেন দুই প্রার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার শিবপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ানম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিবের কয়েকজন সমথর্কদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীকালে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয় উভয়পক্ষের অন্তত ৩২ জনকে।  

এদের মধ্যে গুরুতর ১২জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে রতনপুর বাজারে নৌকা প্রতিকের একটি নির্বাচনী অফিসসহ দুই প্রার্থীর চারটি নির্বাচনী অফিস ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের ঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর উত্তেজিত সমর্থকরা দুই ভাগে অবস্থান নেওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক চলাকালে খবর পান তার তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে এবং পিটিয়ে ও কুপিয়ে ১০-১২ জন কর্মীকে আহত করেছেন।  

বিএনপি-জামায়াতের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ হামলা চালিয়েছে।

অপরদিকে, পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) সিরাজুল ইসলাম রাকিব।  

তিনি অভিযোগ করেন ইভিএম ভোটের নিয়ম দেখানোর সময় নৌকার সমর্থকরা গুলি করে হামলা চালায়।  

আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারপিট করেছে। তার ১৪-১৫ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর কথা তিনি অস্বীকার করছেন।

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও দু’পক্ষের মধ্যে রাতভর ছিল উত্তেজনা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু’পক্ষ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেওয়াদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চম ধাপে আগামী ০৫ জানুয়ারি এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন আটজন। এদের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জসিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলামের মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।