ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি সঠিকভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না, জবাবদিহিতা থাকে না।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টেরকয়েকজন আইনজীবীর জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে প্রথমে ভোটার বিহীন নির্বাচন, পরে খুনোখুনির নির্বাচন। আর এখন ফলাফল পরিবর্তনের নির্বাচন কায়েম হয়েছে। মানুষ ভোট দেয় একজনকে, ফলাফলে ঘোষণা হয় অন্যজনের নাম। মামলা করলে ৫ বছরেও রায় আসে না, কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, স্ট্যাম্প নির্বাচন কমিশন হলে কেউ আর নির্বাচনে যাবে না, রাজনৈতিক দল থাকবে না, দেশে রাজনীতিও থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, চলমান নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে একদল, আবার নৌকার সমর্থকরাই নৌকা ডুবিয়ে দিচ্ছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আর গণতন্ত্র নিপাত গেছে। একটি দল ভোট ডাকাতি শুরু করেছে, অন্যদল ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশনকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে। এমন একটি দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, এমন দেশের জন্য বীর শহীদরা জীবন দেননি, এমন দেশের জন্য মা-বোনেরা সম্ভ্রম হারাননি। দেশের মানুষ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।
এসময় দলের অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।
জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা জাপার আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম, যোগদানকারী অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম খান।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নাজমা আখতার এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরু চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ফকরুল আহসান শাহজাদা, ইকবাল হোসেন তাপস, মো. বেলাল হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, এমএ রাজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, নুরুল হক নুরু, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এসএম সুবহান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, মো. ইব্রাহীম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা সামছুল হুদা মিয়া, ফজলে এলাহী সোহাগ, হুমায়ুন কবীর শাওন, তাসলিমা আকবর, সাফিয়া পারভীন, নুরুজ্জামান, জিয়াউর রহমান বিপুল, রেজাউল করিম রেজা, জয়নাল আবেদীন, মো. কাদির, হুমায়ুন কবীর মজুমদার, মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. জুলফিকার শরীফ, নুরুজ্জামান লিটন, বশির আহমেদ, মিজানুর রহমান দুলাল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড