ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলেও সব জায়গায় তারা ছিল। তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে তাদের জনপ্রিয়তা কোন জায়গায় আছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘দৈনিক ভোরের আকাশ’ এর নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকাল নারায়ণগঞ্জে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের প্রচারণা থেকে শুরু করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সেখানে হয়নি। সেইসঙ্গে সারাদেশে পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। গতকাল নারায়ণগঞ্জে যে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে, ইনশাআল্লাহ আগামী সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু, সুন্দর ও নির্ভেজাল নির্বাচন হবে। গতকালের নির্বাচনে এটাই প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কেউ যেন সাংবাদিক পরিচয় দিতে না পারেন, সে জন্য কারা সাংবাদিক হতে পারবেন সেই মানদণ্ড তৈরি হচ্ছে। ‘ভুতুড়ে পত্রিকা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি আমরা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভুতুড়ে পত্রিকা যেমন আছে তেমন ভুতুড়ে অনলাইনও আছে। অনলাইন পোর্টালের বিষয়ে আমরা অ্যাক্রিডেশন কার্ড খুব সতর্কতার সঙ্গে দিচ্ছি। রেজিস্ট্রেশনবিহীন যে অনলাইন আছে তাদের অ্যাক্রিডেশন কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন অনলাইনের সাংবাদিক যারা শুধু তারাই অ্যাক্রিডেশন কার্ড পাবেন। এছাড়া অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করেছে। স্বাধীনতা থাকলে স্বাধীনতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হয়। যার হাতে অস্ত্র থাকে, তিনি সব জায়গায় গুলি করতে পারেন না। তেমনি সাংবাদিকদের হাতে কলম আছে। তিনি হচ্ছেন কলমযোদ্ধা। তার কলমটি কোথায় ব্যবহার হবে সেই বিষয়টিও সতর্ক থাকতে হবে। আমার স্বাধীনতা যেন অপরের মানবাধিকারকে খর্ব না করে সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
ওয়েজবোর্ডের বিষয় উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রী বলেন, ওয়েজবোর্ড না দেওয়ার বিরুদ্ধে পত্রিকার মালিক মামলা করেছেন। ওয়েজবোর্ড যাতে বাস্তবায়ন করা না হয় সেজন্য পত্রিকার মালিকরাই মামলা করেছেন। সুতরাং আমি মনে করি সমস্যা কোথায়, সেটা আপনারা জানেন। পত্রিকার কোন মালিকরা মামলা করেছেন সেটিও আপনারা জানেন। সেখানে আপনাদের ইউনিয়নের ইউনিটিও আছেন। সুতরাং আমি আশা করবো যেখানে সমস্যা, সেই সমস্যার গোড়ায় আপনারা হাত দেবেন।
ভোরের আকাশ পত্রিকার সম্পাদক খালেদ ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
এমএমআই/এমআরএ