ঢাকা: বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টাকা খরচ করছে এবং সরকারের কাছে তার হিসাব আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
গত পাঁচ বছরে কতগুলো লবিস্ট ফার্মে টাকা দিয়েছে তার হিসাব প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি জানান।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে শাহরিয়ার আলম এসব কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আইনের চোখে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে এখনও কীভাবে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে একটা কলাম লেখেছিলেন। যেটা এখনও অস্বীকার করেন। সেটার জন্য এখন তিনি ক্ষমা চাইতে পারেন। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কত টাকা খরচ করেছে তার হিসাব সরকারের কাছে রয়েছে'।
‘বিএনপি-জামায়াত গত পাঁচ বছরে কতগুলো লবিস্ট ফার্মে টাকা দিয়েছে তার চুক্তি, টাকা পয়সার হিসাব আছে এটা প্রকাশ করা হবে। কে, কোন অ্যাকাউন্টে দিয়েছেন সবকিছু আছে, এর তদন্ত দাবি করবো। ২০১৫ সালে অ্যাকিন গর্ভমেন্ট অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে বিএনপির নয়াপল্টনের ঠিকানা দিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। মাসিক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে। সেটা তিন বছর অব্যাহত ছিল। বছরে আসে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার। এ ধরনের আমার কাছে ১০টি ডকুমেন্ট রয়েছে। এগুলো আমি সংসদে দেবো। তদন্ত করে দেখতে হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই। প্রতিটি রাজনৈতিক দল বছর শেষে তাদের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করে'।
‘বিএনপিকে জিজ্ঞেস করতে হবে। এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গেছে কিনা? তা না হলে এতিমের টাকা খেয়ে যে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই টাকার ব্যবহার এখানে করা হয়েছে কিনা সেই তদন্ত চাই। এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই’।
তিনি বলেন, ‘মীর জাফর বিদেশিদের সঙ্গে চক্রান্ত করে এই দেশের সূর্য ডুবিয়ে দিয়েছিল। আবার সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে টাকা-পয়সার খেলা অব্যাহত চলতে থাকে। আবার চক্রান্ত করতে বিদেশিদের কাছে ধন্যা দিচ্ছে। এটা বন্ধ হতে হবে চিরতরে। এই চক্রান্তের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের বিচার করতে হবে। তারা বলেছেন দেশনেত্রী। আমিতো বলবো খালেদা জিয়া হলেন দেশ বিরোধী নেত্রী এবং দেশদ্রোহিতার কারণে তার পুনরায় বিচার করতে হবে’।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্য (হারুনুর রশিদ) কোরআন শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, জানা সত্ত্বেও মিথ্যাকে গোপন করিও না। এই বক্তব্যটি তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে প্রতিপালন করছেন কিনা প্রতি মুহূর্তে। মুসলামান হিসেবে যদি দাবি করে থাকেন। সেই মিথ্যাগুলো তারা যেন গোপন না করেন। এ সময় হারুনুর রশীদ হাত উঁচু করে ইঙ্গিত করেন তিনি নিজে করছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি বলে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে? আসলে আমি তো দেখেছি রাজশাহীতে তাদের দলের সব জায়গায় প্রার্থী ছিল। তাদের দলের একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। তারা যদি বর্জন করে থাকে তাহলে তিনি (হারুন) তার প্রার্থী, আমার প্রার্থী। তিনি (হারুন) কী দল পাল্টিয়েছেন?
জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল থেকে তিনি কী নতুন কোন রাজনৈতিক দলের সূচনা করেছেন কিনা? এই নির্বাচন নিয়ে রাজশাহীর জনগণ ও তার (হারুন) কোন অভিযোগ আছে কিনা? তাকে বলার অনুরোধ করবো।
বাংলাদেশ সময় ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
এসকে/এএটি