নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, মানুষ পরিবর্তন চায় প্রধানমন্ত্রীতো পরিবর্তন চান না। তিনি দেশের মধ্যে একমাত্র ক্ষমতাধর।
প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য নারায়ণগঞ্জের এসপি আমার ওপর যে অত্যাচারটা করেছে এটা না করলেও পারতো। আমার বাড়ি থেকে যেই বেরিয়েছেন তাদের ধরে নিয়ে হেফাজতে মামলা দিয়ে দিয়েছেন।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের পর সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এদিন সকাল থেকেই নির্বাচনী কাজে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের জামিন করাতে আদালতপাড়ায় ছিলেন তৈমূর। নেতাকর্মীদের স্বজনদের খোঁজ খবরও নেন তিনি।
আমি আমার চিফ এজেন্ট এটিএম কামালের জন্য যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলাম সে গাড়ির চালককে গাড়ির চাবিসহ ধরে নিয়ে গেছে। তারপর আমার মেয়ে গিয়েছিল ডিবি অফিসে চাবিটার জন্য। সে চাবিটাও তারা দেয়নি। আমার ব্যাজ লাগানো যারা ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন নম্বর ওয়ার্ডে তারেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমেই তো মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করেই এসপি তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলো। তৈমূরের পক্ষে যে থাকবে তাকেই গ্রেফতার করা হবে। এতে হয়তো তার ভালো প্রমোশন হবে। নির্বাচনে ফলাফল যাই হয়েছে আমার আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, মানুষ যেন আর ইভিএমকে বিশ্বাস না করে। আইটি স্কুলে আমার এজেন্টদের খাবারটা পর্যন্ত পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট নিতে দেয়নি। আমি আইটি স্কুলে লাঞ্চের সময় ছিলাম। সেখানে খাবার নিয়ে যে লোক গিয়েছিল তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি মিডিয়াতে এগুলো দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমিতো অদায়িত্বশীল লোক না। এভাবে নারায়ণগঞ্জের এসপি জায়েদুলের নেতৃত্বে আমাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাকে আগে পরে বুকে আগলে রেখেছি কিনা, তাকে মাথায় অদৃশ্য ছায়ার মতো ছিলাম কিনা এটা তাকে জিজ্ঞাসা করবেন। রাজনীতি করতে একটা দল লাগে। কিন্তু খুব ভারি পদ পদবি লাগে না। একটু ক্লিন ইমেজ লাগে। কর্মী বাহিনী লাগে। নারায়ণগঞ্জে আমার ক্লিন ইমেজও আছে আমার কর্মী বাহিনীও আছে। আমিতো রাজনীতি করার আগে ছাত্র জীবন থেকে খেটে খাওয়া মানুষের রাজনীতি করেছি। অনেক শ্রমিক সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন করা অফিস ছিল শায়েস্তাখান রোডে। আমি সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম মানুষও পাশে ছিল।
তৈমূর বলেন, আমার বাড়ির কোনো থেকেও এক সঙ্গে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আমি আপনাদের বলেছিলাম আমার বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ চেক করেন। তাদের নাম ও চেহেরাগুলো দেখেন। আমি জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বহুবার ছিলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও ছিলাম। আমি গণমানুষের জন্য রাজনীতি করি ভবিষ্যতেও তাই করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস