ঢাকা: সব ভোট ইভিএমে করবেন ওই ধান্দা ছেড়ে দেন। এটার গ্যারান্টি কী যে একটাতে ভোট দিলে আরেকটাতে যাবে না! ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা আগেও ছিল না, এখনো নেই।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে 'গুম হওয়া পরিবারের ওপর সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান' শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এই সভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
এ সময় তিনি বলেন, এখন আবার নতুন করে আইন পাস করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তা মন্ত্রিসভায়ও পাস হয়ে গেছে। এটা সম্পর্কে না সাধারণ মানুষ জানে, না সংসদ সদস্যরা জানে! আগে ছিল রক্ষী বাহিনী, এখন হচ্ছে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি এ সময় বলেন, এরা হারিয়ে যায়নি বা কোনো কারণে দূরে সরে যায়নি। সরকারের রোষানলে পড়ে তাদের হারিয়ে যেতে হয়েছে। জানতেও পারি না মানুষটা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। এ দেশে প্রসাশন নেই, বিচার নেই, শাসন নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও এসব দায়ভার নিতে চায় না।
সভায় 'মায়ের ডাক' সংগঠনের প্রধান আফরোজা আক্তার বলেন, গুম হওয়ার পর জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি নেয় না। জিডি নিলেও সেখানে লিখতে হয় নির্দিষ্ট ব্যক্তি হারিয়ে গেছে বা তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গেছে, এটা কখনোই লেখা হয় না বা পুলিশ লেখে না। লিখতে বললে তারা বলে- এমন জিডি করা যাবে না।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, র্যাব-পুলিশ যারা এই গুমের সঙ্গে যুক্ত এদেশে তাদের বিচার করা যাবে না। আমাদের কোনো বিচারকও এসব ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করেন না। হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলে না।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, অনেক সময় এমন হয় যে মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও কোনো কথা বলা সম্ভব হয় না। আমরা এখন র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করতে চাই, কিন্তু এটা কেন? আমাদের লবিস্ট হবে তো আমাদের জনগণ। তাদের পাশে যদি সঠিকভাবে দাঁড়ানো যায়, তাহলে এগুলোর প্রয়োজন হবে না।
আয়োজনে নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এস এম আকরাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক এম এইচ মামুনসহ বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস