ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ সংবিধান পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই আইনটি সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে করা হচ্ছে না।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইনটির নাম ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ হওয়া বাঞ্চনীয়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার গঠনসহ কমিশন পরিচালনা, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, তাদের সুযোগ-সুবিধা ও কাজের শর্তাবলী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিধান থাকতে হবে। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখভাল করা সংক্রান্ত বিষয়গুলোও সেখানে সন্নিবেশিত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের সপ্তম ভাগে প্রদত্ত বিধানাবলী অনুসরণসহ সংবিধান ও অন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের বিধান রাখতে হবে।
ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনটির মূল উদ্দেশ্য হতে হবে দেশে একটি স্থায়ী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সেটি না করে সরকার যেভাবে আইনটি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, তাতে নির্বাচন বা ভোটাধিকার প্রশ্নে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে না। এখানে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিধান করা হচ্ছে তাতে বিদ্যমান অবস্থার কোনো উত্তরণ ঘটবে না, বরং এটি একটি কালো আইন হয়ে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথর হয়ে চেপে বসবে।
ইতোমধ্যে আইন সচিব বরাবর পাঠানো বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রস্তাবিত ‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন’র খসড়ার আলোকে আইন প্রণয়ন করতে বিবৃতিতে দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন আইন’র একটি খসড়া প্রণয়ন করে ওই খসড়ার আলোকে আইন প্রণয়ন করার জন্য ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দলের পক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন দলটির মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম। বিচার বিভাগ আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিতে পারে না—এই যুক্তিতে রিটটি খারিজ করেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
এমএইচ/জেএইচটি