ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পদত্যাগ করে নির্বাচন দিলে ঘৃণা কমবে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
পদত্যাগ করে নির্বাচন দিলে ঘৃণা কমবে: গয়েশ্বর

ঢাকা: পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দেশের মানুষের ঘৃণা ও ক্ষোভ কমবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আপনাদের দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশেই যদি থাকতে হবে, সরকারে বা বিরোধীদলে যেখানে থাকেন শান্তিতে থাকতে পারবেন, সেই উদ্যোগ নিন। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দিন। এতে করে দেশের মানুষ আপনাদের ওপর যত ক্ষোভ আছে, যতটা ঘৃণা আছে তা কমে যেতে পারে।
 
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অনেকদিন ধরে উপলব্ধি করেছি, ঘরে বসে আলোচনা করে সমস্যার ফয়সালা হবে না। পরিবেশ পরিস্থিতিতে রাজপথের পাশাপাশি ঘরকে অবহেলা করারও সুযোগ কম। এর অর্থ এই নয় যে, সরকারের বিধিনিষেধ দীর্ঘকাল মানতে আমরা বাধ্য। সময়ই আমাদের বলে দেবে কখন কী করতে হবে।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি বা বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সরকারের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কর্মসূচি হয়েছে। বিএনপির শক্তি সরকার পরিমাপ করতে পেরেছে। এ কারণেই সরকার করোনা নামক বিধি নিষেধের অস্ত্রটি ব্যবহার করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জরিপেও ৮৮ শতাংশ মানুষ বলছে রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন প্রসঙ্গ টেনে সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, এর আগে বিনা কাবিনে সংসার করেছেন, এখন কাবিন করে সংসার করবেন। যতদিন বিনা কাবিনে সংসার করলেন, সেই অপকর্মের বিচার হবে না?

মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীসহ সরকারের নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, হয়ত বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের কারাগারে যাওয়ার পর্বটা শেষ হবে। তবে, কারাগার ফাঁকা থাকবে না। নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীনদের কারাগারে যেতে হবে। দ্বিগুণ বড় করতে হবে কারাগার।

সংগঠনের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জামানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এমএইচ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।