ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

ইসি নয়, বিএনপির দাবি নির্দলীয় সরকার: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
ইসি নয়, বিএনপির দাবি নির্দলীয় সরকার: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে। আমরা আগেই বলেছি ইসি নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

আমাদের মাথাব্যাথা একটি বিষয়ে, সেটা হচ্ছে- নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারটা কার হবে। ’

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে যদি আওয়ামী লীগ সরকারে থাকে তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে নির্বাচন হবে না। কারণ তারা একই কায়দায় নির্বাচন করার চেষ্টা করবে, আর আমরা বসে বসে দেখবো, সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইসি নয়, সার্চ কমিটি নয়, আমাদের একমাত্র দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ইসি গঠন করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ’

ইসি সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে। ইসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের দায়িত্ব জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি সরকার গঠন করা। অথচ আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেখেছি, তারা এই ব্যবস্থাটা ধ্বংস করে দিয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তাদের (আওয়ামী লীগ) দাবি ছিল। আমরা বাধা দিয়েছিলাম। পরে সেটা মেনে নিয়েছি। খালেদা জিয়া কখনো জনগণের বিরুদ্ধে যাননি। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে সম্পৃক্ত করেছিলেন, যার অধীনে পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে কেউ একটা প্রশ্ন করেনি। কিন্তু যখন তারা ক্ষমতায় এসে দেখল যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে তাহলে কিছুতেই আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না, জনগণ তাদের ভোট দেবে না,  তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের একমাত্র কাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এজন্য যিনি সারাজীবন গণতন্ত্র রক্ষায় লড়াই করেছেন সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে মুক্ত করতে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘এতগুলো চ্যানেলের সাংবাদিক ভাইয়েরা এখানে আছেন, বিশ্বাস করেন তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। তারা কিছু করতে পারবেন না, কিছু লিখতে পারবেন না। জিজ্ঞেস করলে বলেন, প্রচণ্ড চাপ আছে। কারণ যারা এই হাউসগুলোর মালিক তারা সবাই সরকারের সুবিধাভোগী। ’

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, দেবাশীষ রায় মধু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এমএইচ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।