ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পরীক্ষার হল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন মহিষ চুরির মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে সেই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ জুন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া থেকে নাসির উদ্দীন নামে এক কৃষকের দুটি মহিষ চুরি হয়। এ ঘটনায় তিনি ১০ দিন পর ওই বছরের ২৬ জুন কোটচাঁদপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের আজগার আলীর ছেলে সেলিমের বাড়ি থেকে একটি মহিষ উদ্ধার করে। ওই সময় তাকে (সেলিম) গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সুমন জড়িত বলে জানান। বর্তমানে মামলাটি ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন আছে। চলতি মাসের ২৭ তারিখে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রয়েছে।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও বর্তমানে শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌফিক আনাম জানান, 'আমরা যখন আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেই তখন ঘটনার সত্যতা তো কিছু অবশ্যই ছিল। আমি ৫ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিলাম। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। '
মামলার বাদী নাসির উদ্দিন বলেন, আমি মহিষ চুরির ঘটনায় মামলা করেছিলাম। এরপর আসামি ও ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সুমন কালীগঞ্জের ও কোটচাঁদপুরের নেতাদের এনে বারবার মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন। তবে আমি মহিষ চুরিতে জড়িতদের শাস্তি চাই। আশা করি আদালত সঠিক বিচার করবেন।
এদিকে ২০২০ সালের মহিষ চুরির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সুমন জড়িত থাকার অভিযোগ উঠায় তখন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৎকালীন (বর্তমানে কমিটি বিলুপ্ত) জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ১১ এপ্রিল, ২০২২
এমএমজেড