ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গাজপ্রমের সাথে চুক্তি সই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১২
গাজপ্রমের সাথে চুক্তি সই

ঢাকা: রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রমের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চুক্তি সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়।



‘এই চুক্তির আওতায় পেট্রোবাংলার অধীনস্ত কোম্পানি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড ও বাপেক্সের ১০টি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কুপ করবে গাজপ্রম। এ থেকে আড়াইশ থেকে তিনশ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি গ্যাস জাতয়ি গ্রিডে যোগ বলে পেট্রোবাংলা আশা করছে। ’

চুক্তিতে গাজপ্রমের পক্ষে সই করেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউরি স্কক, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (বিজিএফসিএল)সচিব রফিকুল আলম, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লি.(এসজিএফএল) সচিব মাহতাব উদ্দীন আহমেদ ও ব্যাপেক্সের সচিব আব্দুস সবুর।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এসএ সামাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকসান্ডা নিকোলাভ।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, রাশিয়ান এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক কমে উন্নয়ন কূপ করতে যাচ্ছে। অন্যরা ২২ মিলিয়ন ডলার দাবি করলেও তারা ২০ মিলিয়ন ডলারের নিচে দাম দিয়েছে।

তিনি রাশিয়াকে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে বলেন তাদের এ সহযোগিতা আমাদের জ্বালানি সংকট সমাধানে সহায়ক হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, এই চুক্তিতে উন্ণয়নের পাশাপাশি তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তির বিনিময় ঘটবে। এতে করে আমাদের গ্যাস সেক্টর সমৃদ্ধ হবে।

গাজপ্রমকে ১০টি কূপ দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো- বাপেক্সের অধীনে থাকা ৫টি (সেমুতাং ফিল্ডে ১টি, বেগমগঞ্জে ফিল্ডে ১টি, সুন্দলপুর/শ্রীকাইল ফিল্ডে ১টি ও শাহবাজপুর ফিল্ডে ২টি), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (বিজিএিফসিএল) ৪টি (তিতাস গ্যাস ফিল্ডের) ও সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) অধীন রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে ১টি।

গাজপ্রম প্রথমে বাপেক্সের ৫টি কূপ খননের দর ঠিক করে ৯৫,১১৫,৬৩৪ মার্কিন ডলার। প্রতিটি কূপের জন্য তারা গড়ে খনন ব্যায় ধরে ১৯.০২ মিলিয়ন ডলার। বিজিএফসিএল ও এসজিএফএলের ৫টি কূপের খনন ব্যায় ধরেছে ১০২,৩৫৯,১২০ ডলার।

‘তিতাসের চারটি কূপে অনেক স্থানে সিপেইজ (গ্যাসক্ষেত্রের কুপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস উদগীরণ) জনিত সমস্যা রয়েছে। কোন কারণে টেংরাটিলার মতো দুর্ঘটনা ঘটলে তার বিষয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ নেই এই চুক্তিতে। ’

‘ মাত্র ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্দিষ্ট করনের মাধ্যমে একটি বীমা করার প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছে বলে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন। ’

‘ওই কর্মকতা বাংলানিউজকে জানান, মাত্র ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বীমা করা হলে তা বাংলাদেশের জন্য হবে আত্মঘাতি। কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু গ্যাসের ক্ষতির পরিমাণ কোটি কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ’

তিনি দাবি করেন যদি কোন ব্লোআউট (বিস্ফোরণ) হয় যতই হোক বাংলাদেশ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ পাবে না। ’

‘একটি সুত্র দাবি করেছে বীমার অর্থ কম হওয়া জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা জোরালো আপত্তি করলেও রহস্যজনক কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের একগুয়েমির কারণে মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করার সাহস পান না। ’


বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১২
ইএস./সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।