ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুৎ-জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
বিদ্যুৎ-জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান

ঢাকা: সারা পৃথিবীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে জনগণের সাশ্রয়ী হওয়া দরকার বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার টিসিবি ভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনায় ২০০৯ সালে একটি আইন হয়েছে। তাদের যে অধিকার আছে সে সুবিধা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া- তারা যেন সেটা জানে। আমাদের সীমিত সংখ্যক লোকের মাধ্যমে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি ভোক্তাদের ন্যায্য অধিকার যেন তারা পায়। সেই অনুযায়ী কাজ করছি‌।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাপ্লাই সবই ঠিকঠাক আছে। রমজান মাস উপলক্ষে কেউ কোথাও মজুদ করছে কিনা এ বিষয়টি আপনারা দেখবেন। এ বিষয়ে আপনাদের সাহায্য চাই। পুলিশসহ সবকিছুই আমাদের সঙ্গে আছে। তারপরও সবচেয়ে বেশি সচেতন আপনারা। আপনাদের একটা নিউজ পেলে আমাদের পক্ষে কাজ করলে অনেক সময় আরও বেশি সহজ হয়। সে বিষয়ে আপনাদের প্রত্যক্ষ সাহায্য দরকার।

রোজার আগে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দাম বৃদ্ধির জন্য এককভাবে কাউকে দায়ী করা যাবে না। আমাদের মানসিকতার একটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। রোজার মাসে সবার সংযমী হওয়া উচিত। যখন পণ্যের দাম বাড়ে তখন হু হু করে বাড়ে। কিন্তু কম সময় সেটি সময় লাগে।

ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মূলত প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় দেখে। যখন এটার দাম বাড়ে, তখন এর প্রভাব আমাদের গায়ে লাগে। কারণ, সবাই আমাদের কাছে আসে। মানুষের কেনার ক্ষমতায় আঘাত লাগে। দাম বাড়লে সেটা গ্লোবালি এফেক্টেড হয় বলে তারা হায়-হুতাশ করে। এক্ষেত্রে তাদের কোনো দোষ নাই। কারণ, কষ্টটা তাদেরই হয়। আজকে তেলের দাম বাড়লো, ব্রাজিলে দাম বাড়লো সেটা তারা শুনতে চায় না। গ্লোবাল প্রভাব তো আমাদের ওপরেও পড়ে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, সব দিন একরকম যায় না। ডলার-টাকা ডি-ভ্যালু হচ্ছে। সবাই এর মধ্যেই পড়েছে। বরং অন্য দেশের তুলনায় আমরা আমাদের এখানে কম পড়েছে কিছু। আমরা দরিদ্র দেশ বিধায় কষ্টটা বেশি অনুভব করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, যখন ক্রাইসিস হয় তখন কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক এটার ফায়দা নিতে চায়। এদেশের ব্যবসায়ীদের যে মোরালিটি থাকার কথা, সেটা আমরা পাই না। যেহেতু সামনে রোজার মাস, আমি প্রতিবারই বলি একটু সংযমী হোন। বড় উৎসবে সবাই কিন্তু ছাড় দেয়, সাহায্য করে। আমাদের দেশে সেই প্রভাবটা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।