ঢাকা : মঙ্গলবার থেকে সিএনজি স্টেশন আগের নিয়মে ফিরছে। এদিন থেকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে।
তবে সিএনজি স্টেশনগুলোর আগের নিয়ম ফেরা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সিএনজি স্টেশন মালিকরা দাবি করেছেন, নতুন করে আর গেজেট নোটিফিকেশন করার প্রয়োজন পড়বে না। তবে তিতাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লি. দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত কিছুই জানে না। বন্ধ যেহেতু নোটিশ দিয়ে করা হয়েছে, চালু করার জন্যও নোটিশ দেওয়ার কথা। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো আদেশ তারা এখন পর্যন্ত পায়নি বলে জানিয়েছে।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নতুন করে চিঠি ইস্যু করার কোনই প্রয়োজন নেই। যে আদেশে বন্ধ করা হয়েছে ওই আদেশেই বলা হয়েছে, আগামী ২ মাস পর অর্থাৎ ২২ মে মঙ্গলবার থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো আগের নিয়মে ফিরবে।
আগের নিয়ম ছিলো, বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে। সে কারণে মঙ্গলবার থেকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিক্রি বন্ধ রাখা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ জ্বালানি বিভাগ থেকে এক গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়। এতে বোরো মৌসুমে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সারা দেশের সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে ২২ মার্চ থেকে ২১ মে পর্যন্ত বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশে আরো বলা হয়, ২১ মের পর আগের নিয়মানুসারে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে।
এতে করে যে গ্যাস উদ্বৃত্ত হবে, সে গ্যাস দিয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। সেচ মৌসুমের জন্যই এ উদ্যোগ বলেও জানানো হয় ওই নোটিফিকেশনে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আজিজ খান দেশের বাইরে থাকায় কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যান্য কর্মকর্তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তবে তারা কিছুই জানেন না বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
অনেকবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের প্রকৃত চাহিদা ১ হাজার ৮০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট/ডে) হলেও লোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, ক্যাপটিভ পাওয়ার ও আবাসিকে (গ্রাহক) প্রায় ৯০০ এমএমসিএফডি ও বাল্ক (পাইকারি)গ্রাহক বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় ৪৯৪ এমএমসিএফডি গ্যাস চাহিদা রয়েছে।
তিতাসের গ্রাহক ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানায় সোমবার পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন বন্ধ ছিলো। অন্যদিকে যমুনা সার কারখানা সার্ভিসিংয়ের কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে রোববার মোট গ্যাস উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ১৭৩.৩ এমএমসিএফডি। একই দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১ হাজার ১৫৯.৮ এমএমসিএফডি চাহিদার বিরপীতে সরবরাহ করা হয়েছে ৮৯১.৯ এমএমসিএফডি, সার উৎপাদনে ২৮৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ৭৯.১ এমএমসিএফডি ও গৃহস্থালিসহ অন্যান্য গ্রাহকদের ১ হাজার ১৩৬.১ এমএমসিএফডি সরবরাহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ২১৩৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১২
ইএস
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর