ঢাকা: জুলাই থেকে শিল্প, বাণিজ্যিক ও সিএনজিসহ (আবাসিক ছাড়া) ৮টি খাতে গ্যাসের নতুন মূল্য কার্যকর করা হতে পারে বলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্র জানিয়েছে।
বিইআরসির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, তারা চলতি মাসের মধ্যেই সব প্রক্রিয়া শেষ করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
কি পরিমাণ দাম বাড়ানো হতে পারে সে প্রশ্নে ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, “পেট্রোবাংলার প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হবে কমিশনের বৈঠকে। এরপর গণশুনানিতে সব পক্ষকে ডাকা হবে, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ”
পেট্রোবাংলা আবাসিক ছাড়া অন্যান্য আট খাতের গড়ে ৩৪ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
পেট্রোবাংলা শিল্প-কারখানায় ক্যাপটিভ পাওয়ারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম একশভাগ রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। ক্যাপটিভ পাওয়ারের বর্তমান দর ৪ দশমিক ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৯ টাকা ৮৯ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিল্প-কারখানায় বর্তমান দর প্রতি ঘনমিটার ৫ দশমিক ৮৬ থেকে ১ টাকা ৯১ পয়সা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৭ টাকা, সিএনজি গ্যাস ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা, সার কারখানায় ২ দশমিক ৫৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৮৩ টাকা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২ দশমিক ৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৯৭ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যিক খাতে সরবরাহকৃত গ্যাস বর্তমান মূল্য ৯ দশমিক ৪৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৩৬ টাকা, চা-বাগানে ব্যবহৃত গ্যাস ৬ দশমিক ৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৬ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, যে সিদ্ধান্তই আসুক খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৯ সালে বিইআরসি সব ধরনের গ্যাসের মূল্য ১১ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়িয়েছিল। এছাড়া গত বছরে দু’ দফায় সিএনজির দাম বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা করা হয়।
বর্তমানে ৮১টি কূপ থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিউবিক ঘনফুট ঘ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থাৎ ৯৩১ দশমিক ৮১ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৫৩ দশমিক ৯০ এমএমসিএফডি।
সার উৎপাদনে ২৩৭ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ৬৬ দশমিক ৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যা মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬ ভাগ। অন্যান্য গ্রাহকদের ১ হাজার ১৬৪ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবারহ করা হচ্ছে। যা মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২
ইএস/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর