ঢাকা: রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের স্থলভাগে বিশ্বের প্রথম পরমাণু প্রযুক্তিভিত্তিক ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে দেশটির পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন-রসাটম। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হবে সর্বাধুনিক আরআইটিএম-২০০এন রিয়্যাক্টর।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরই মধ্যে এসএমআরটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নির্মাণ শুরু করেছে সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত রসাটমের যন্ত্রপ্রকৌশল শাখার অধীনস্থ একটি কারখানা। স্টেইনলেস স্টিল থেকে নির্মিত ১৬৫ টনের অধিক যন্ত্রপাতির মেটালার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।
রসাটম যন্ত্রপ্রকৌশল শাখার প্রধান ইগোর কতোভ বলেন, ক্ষুদ্র পারমাণবিক কেন্দ্রের চাহিদা ক্রমান্বয়েই বাড়ছে। ক্ষুদ্র রিয়্যাক্টরগুলোকে বিশ্বে পরমাণু শক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সম্ভাবনাময়য় হিসেবে বিবেচনা করছে। রাশিয়া এ ক্ষেত্রেও তাদের নেতৃত্ব বজায় রাখতে ইচ্ছুক এবং পরীক্ষামূলক ইউনিটের পরিবর্তে ক্ষুদ্র বানিজ্যিক রিয়্যাক্টর উৎপাদনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্থলভিত্তিক এ ক্ষুদ্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এটি দূরবর্তী ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের এনার্জি সুরক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। ২০২৮ সাল নাগাদ এটি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বে এ জাতীয় প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে একটি পাওয়ার ইউনিট থাকছে এবং ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আইসব্রেকারে ব্যবহৃত আধুনিক আরআইটিএম—২০০ রিয়্যাক্টরের ভিত্তিতে তৈরি আরআইটিএম—২০০এন রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হচ্ছে। এর তাপ উৎপাদন ক্ষমতা ১৯০ মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫৫ মেগাওয়াট। এ রিয়্যাক্টরের আয়ুস্কাল ৬০ বছর। একবার জ্বালানি লোড করা হলে তা দিয়ে চলবে টানা ৫ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এসকে/জেএইচ