রাজশাহী : রাজশাহীর কাঁটাখালীতে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণাধীন ৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল।
প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আলাউদ্দিন আলী বাংলানিউজকে জানান, টাকার পরিমাণে প্রকল্প ব্যয় ঠিক থাকবে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ডলারের মাধ্যমে নির্মাণ ব্যয় পরিশোধ করতে হয়। আর ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয়ও বাড়তে পারে।
রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, সরকারি অর্থায়নে ৫০ মেগাওয়াটের পিকিং বিদ্যুৎ প্ল্যান্টটির নির্মাণে প্রায় ৩শ` ১২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পিকিং প্ল্যান্টটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
গত বছরের জুন মাসে পিকিং প্ল্যান্টটি নির্মাণে চীনের ডংসেং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের সঙ্গে কারিগরি চুক্তি করে পিডিবি। ‘টার্ন কি’ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটির যন্ত্রপাতি আমদানি, অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ করে প্ল্যান্টটি চালু করে দেবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডংসেং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এ বছরের ১৭ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শেষে পিকিং প্ল্যান্টটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি ডংসেং।
পিডিবির ওই সূত্রটি আরও জানায়, ডংসেং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজটি শুরু করে মালিহা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। ২০১১ সালের জুলাই মাসে তারা অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে। কিন্তু এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মালিহা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের বিরোধ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে কাঁটাখালী পিকিং প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আলাউদ্দিন আলী বাংলানিউজকে জানান, উভয়ের মধ্যে বিরোধের কারণে কাজ পিছিয়ে পড়ে। এ ছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি আমদানি করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিলম্ব হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১২
সম্পাদনা : প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]