ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটের খবর

দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে ২২ শতাংশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১২
দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে ২২ শতাংশ

ঢাকা: বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা চলতি মাসে ২২ শতাংশ কমে গেছে বলে খবর দিয়েছে প্লাটস নামের জ্বালানি বিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের চাহিদা গত আগস্ট মাসের ২ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে কমে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টনে।



বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ  কেনা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বা বিপিডিবি গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কয়েকটি জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র যা কুইক রেন্টাল নামে পরিচিত।

খরচ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সরকার প্রথম গত মার্চ মাসে বেশ কিছু জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে তখনই বেশ কয়েকটি জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর উৎপাদিত বিদ্যুতের একমাত্র ক্রেতা বিপিডিবি। এছাড়া এটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানও বটে।

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানটি একই সঙ্গে দেশে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। পরবর্তীতে অবশ্য তা ভর্তুকি দিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। এর ফলে সরকার সম্প্রতি প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা গেছে।  


তবে গত জুন মাসে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় তেলনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনতে অতিরিক্তি ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। গরম কাল এবং বিশেষ করে রমজান মাসে গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৪টি জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে। এগুলোর মধ্যে ২৩টির উৎপাদন  ক্ষমতা ১ দশমিক ৯৫৬ গিগাওয়াট। উচ্চ ক্ষমতার সালফার ফুয়েল অয়েল ব্যবহার করে পরিচালিত হয় এগুলো। বাকি ১১টিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় গ্যাস অয়েল জ্বালানি।

বর্তমানে জ্বালানি তেল দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ১৬ থেকে ২০ টাকা পার কিলোওয়াট আওয়ারে। এছাড়া গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ২ থেকে ৩ টাকা প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার। তুলনামূলকভাবে সস্তা কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন খরচ পড়ে ৫ টাকা প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার। এছাড়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় মাত্র ১ টাকা প্রতি কিলোওয়াট আওয়ার।

বাংলাদেশ তার জ্বালানির অধিকাংশ চাহিদাই মেটায় আমদানির মাধ্যমে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন আগামী ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জন্য ৫৮ লাখ মেট্রিকটন পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।