ঢাকা: নতুন শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা বাড়তি দিতে হবে তাদের।
এ ছাড়া পুরনো শিল্পকারখানায় অনুমোদিত লোডের বাইরে অতিরিক্ত ব্যবহারে দিতে হবে বাড়তি দাম। প্রতিশ্রুত শিল্প গ্রাহকদের অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহারে বাড়তি দাম দিতে হবে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া।
শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রে (ক্যাপটিভ) ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ছিল ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। এটি বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা। আর শিল্প সংযোগে গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ টাকা। নতুন এই দাম চলতি এপ্রিল মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
এ দিনের পর থেকে যত গ্যাস সংযোগ অনুমোদন করা হবে, তাদের বাড়তি দাম দিতে হবে। যেসব সংযোগ আবেদনের চাহিদাপত্র আগে ইস্যু করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহারে নতুন দাম। পুরোনো শিল্প গ্রাহকেরা অনুমোদিত লোডের বাইরে যতটুকু ব্যবহার করবেন, ততটুকুর নতুন দাম দিতে হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, রাজস্ব চাহিদা ধরলে দাম অনেক বেশি বাড়াতে হতো। তাই ভোক্তার জন্য সহনীয় রাখতে ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভর্তুকিরও হিসাব করা হয়নি।
নতুন ও পুরনো শিল্পে আলাদা দাম রাখা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিইআরসির আইনি আওতার মধ্যে থেকেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ সারোয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
আরকেআর/এমজেএফ