ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

নবায়নযোগ্য শক্তি ও বৈদ্যুতিক শক্তি উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১২
নবায়নযোগ্য শক্তি ও বৈদ্যুতিক শক্তি উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জ্বালানি উন্নয়নে তিনদিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার নবায়নযোগ্য শক্তি ও বৈদ্যুতিক শক্তি উন্নয়ন ফোরামের সম্মেলন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এ সম্মেলন শুরু হয়।

মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই সম্মেলন চলবে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জ্বালানি খাতের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশের দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের সহযোগিতায় কোরিয়া ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোতরা) এই ফোরামের আয়োজন করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদুত লি ইউন ইয়ং, বাংলাদেশের কৃষিসচিব মনজুর হোসেন, কোরিয়ার দক্ষিণ কোরিযার নলেজ অ্যান্ড ইকোনমি মন্ত্রণালয়ের ডিজি কিম ইয়াং, দক্ষিণ কোরিয়ার এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের এমডি চিন উইন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বিএডিসি’র চেয়ারম্যান ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পরিচালক (নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণা ও উন্নয়ন) দিলরুবা বেগম, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির (ইডকল) নবায়নযোগ্য শক্তির প্রধান মো. এনামুল করিম পাভেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, এশিয়ার উন্নযনশীল দেশগুলোতে নবায়ণযোগ্য সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব। উদ্যোগ নিলে লোডশেডিং ছাড়াই এ নবায়নযোগ্য বিদ্যৎশক্তি দিয়ে দেশগুলোর বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বক্তারা বলেন, ছোট ছোট আকারে বিদ্যুতের বিষয়ে ব্যক্তিগত উৎপাদন পদ্ধতিতে জনগণকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। সেটা হতে পারে এলাকাভিত্তিক প্ল্যান্ট স্থাপন, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর এলাকাভিত্তিক কিংবা পৌরসভা সিটি করপোরেশন এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বা একটি শহরের উৎপাদন। এতে দেশের মোট বিদুৎ উৎপাদন খুব দ্রুত বাড়বে।  

বক্তারা আরো বলেন, গ্যাস কয়লা এগুলো অ-নবায়ণযোগ্য শক্তি। এগুলোর মজুদ বিশ্বের সব দেশে সমান নয়। বরং চাহিদার তুলনায় কম। এ ব্যাপারে সারা বিশ্ব সতর্কতা অবলম্বন করছে।

ভবিষ্যতে জ্বালানি সঙ্কটের আশঙ্কা ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, এরপর যে সংকট আসছে তা অত্যান্ত ভয়াবহ। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট ঘনীভুত হচ্ছে। নিজেদের রক্ষার জন্য এগুলোর ওপর আমাদের নির্ভরতা এখনই না কমালে বিপদ দেখা দেবে। এজন্য তেল, গ্যাস ও কয়লার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করে এর বাইরের জ্বালানি সম্পদের দিকে নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরি। সৌর-প্রযুক্তি বা বায়ুশক্তি কাজে লাগানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে।

বক্তারা বলেন, সবচেয়ে নিরাপদ নবায়ণযোগ্য শক্তিই হচ্ছে বিকল্প। এ শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন সহজসাধ্য, তেমনি কম খরচ এবং পর্যাপ্তও। এ শক্তি কখনো নিঃশেষ হবে না।

বিশ্বব্যাপী নবায়ণযোগ্য শক্তির মধ্যে জলবিদুৎ শক্তি, হাইড্রোজেন শক্তি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ শক্তি, বায়ু শক্তিসহ জৈব গ্যাস প্রযুক্তিও সম্ভাবনাময় হিসেবে স্বীকৃত। এসব বিকল্প ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য সৌরশক্তির ব্যাপক ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে সৌরশক্তি পৌঁছে দিয়ে বিশ্বে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। এই ফেরামের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা তাদের চিন্তাভাবনাকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময় ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১২
এমআইআর/সম্পাদনা : সোহেল রহমান, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।