ঢাকা: বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে কম কার্বন নির্গতকারীদের মধ্যে অন্যতম বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, “২০২০ সালের মধ্যে মোট উৎপাদন চাহিদার ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সূর্য থেকে তৈরি করবে বাংলাদেশ।
সোমবার থেকে রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী কার্টেজিনা ডায়লগ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে কম কার্বন নির্গতকারীদের মধ্যে অন্যতম। ”
তিনি বলেন, “২০২০ সালের মধ্যে আমরা মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০ শতাংশ উৎপাদন করবো সূর্য থেকে। ”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তবে বেশকিছু দেশ তাদের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কার্বন নির্গমণ কমাচ্ছে না। ”
ডা. দীপু মনি বলেন, “মালদ্বীপ, কোস্টারিকা, ইথিওপিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের কার্বন নির্গমণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু, উন্নত বিশ্ব আজও এ কার্বন নির্গমণ কমাতে সক্ষম হয়নি। ”
তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বও জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে রেহাই পায়নি। ”
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাটরিনা, সান্ডি আঘাত হেনেছে। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলেই এ ঘটনা ঘটেছে। ”
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ নিরপরাধ ভুক্তভোগী। এ ধরনের সংকটের জন্য উন্নত বিশ্বই দায়ী। তারা তাদের প্রতিশ্রুত কার্বন নির্গমণ এখনও কমায়নি।
তিনি বলেন, “আমরা অনেক কিছুই করেছি। ২০০৯ সালে যে কার্বন নির্গমণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, তা ২০১১ সালে তা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু, উন্নত বিশ্বের ব্যর্থতার জন্য আমরাও ব্যর্থ হয়েছি। কারণ, পৃথিবী একটাই। পৃথিবীর একপ্রান্তে দূষণ ঘটলে আমাদের কক্সবাজারেও এসে পড়ে।
দুইদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ড. খলেকুজ্জামান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব শফিকুল রহমান পাটোয়ারী অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান। আরও বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দূত ড. জাসটিন লি।
বিশ্বের ৩১টি দেশের ৬১ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৩
কেজেড/সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর