ঢাকা: একসময় বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে ক্যাপটিভ পাওয়ারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশে জ্বালানি সাশ্রয়, সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একসময় প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, তাই শিল্পমালিকদের জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছি। এখন আর এর প্রয়োজন নেই। তবে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর থাকতে পারে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, বিদ্যুৎ খাত দ্রুত এগিয়ে গেছে। বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখন উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজারের বেশি। কিন্তু আমরা সরবরাহ করতে পারি মাত্র সাত হাজার মেগাওয়াট। এই পার্থক্য কমাতে হবে। ট্রান্সমিশন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পিক আর অফ পিকের ব্যবধান অনেক কম। পিকিং সিস্টেম বলে কিছু নেই। এ বিষয়টি ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আবাসিকে ৪৩ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। এখানে যদি এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা যায় তাহলে বিদ্যুতের ব্যবহার অর্ধেক কমে আসবে। এজন্য অর্থসহায়তা প্রয়োজন।
এলইডি লাইটের ব্যবহার বাড়াতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার জরুরি বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ব্লিডিংয়ে রিফ্লেটিং (প্রতিসরণ) কাচের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রিফ্লেটিং কাচ ব্যবহারযোগ্য নয়।
গ্যাসের মিটারিং হলে অবৈধ সংযোগ ও চুরি বন্ধ হবে। এখন প্রায় দুইশ’ কিলোমিটার অবৈধ লাইন রয়েছে। মিটারিং করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। এজন্য অর্থমন্ত্রী সহায়তা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
ট্রান্সফরমারের খুচরা যন্ত্রাংশে শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সংকট তৈরি হতে পারে। এজন্য শুল্ক কমানোর দাবি জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ হোসাইন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৪