ঢাকা: বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে আরো ৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে চায় মার্কিন কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ। কোম্পানি দরপত্র ছাড়াই এই কাজটি পাওয়ার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
শেভরনের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে রোববার মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও পেট্টোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেভরনের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কোম্পানিটি বিবিয়ানা ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জায়গাটি বাড়িয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। তাদের দেওয়া প্রস্তাবের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ’
তবে কি পরিমান জায়গা বাড়াতে চায় সে বিষয়ে জানান নি প্রতিমন্ত্রী।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সাগরে বিদেশি কোম্পানিকে তেল-গ্যাস ব্লক ইজারা দেওয়ার সময় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সমালোচকদের দাবি ছিলো বিদেশি কোম্পানি নয় রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে দিয়েই সাগর বক্ষের তেল গ্যাস তুলতে হবে।
তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্থলভাগে আর কোনো বিদেশি কোম্পানি দেওয়া হবে না। বাপেক্সের জন্য তা রেখে দেওয়া হবে। সাগরে বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি দেখানো হয়, যেহেতু সাগরে বাপেক্সের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের অভিজ্ঞতা নেই এ কারণে সাগরে বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে।
তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য সীমানা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কোনো রকম প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট (পিএসসি) করবে না। কিন্তু শেভরনকে দরপত্র ছাড়াই কাজ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে স্থলভাগের অন্যতম সফল রাষ্ট্রায়াত্ব কোম্পানি বাপেক্সের জন্য গ্যাস উত্তোলনের স্থান আরো সংকুচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১২ নম্বর ব্লকে অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি দেশের স্থলভাগে সব থেকে বড় গ্যাসের আধার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউএস জিউলজিক্যাল সার্ভে অনুযায়ী ব্লকটিতে ৮ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রয়েছে। অন্যদিকে শেভরন প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ টিসিএফ বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪