ঢাকা: বন্দরনগরী চট্টগ্রাম জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়নের জন্য এক হাজার ৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
জাপান সরকারের ঋণ সহায়তায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২শ’ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও এস আলম কোম্পানির ১৩শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সব মিলিয়ে আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ৭শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড হতে চট্টগ্রাম জোনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য এলাকায় বিতরণের জন্য চট্টগ্রাম জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ত্ব করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পে মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৬৩ কোটি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ৩৬ কোটি টাকা দেবে।
চলতি বছরে কাজ শুরুর পর ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, মদুনাঘাট, কালুরঘাট, খুলশী, পাহাড়তলী,ষোলশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া ও পটিয়া উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্ভরতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত, বিদ্যুতের ভবিষ্যত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান পাওয়ার সিস্টেমের গুণগতমান এবং বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত, সিস্টেম লস কমানো, ফ্রিকোয়েন্সি ভেরিয়েশন কমানো, উন্নত লাইন সাব-স্টেশন নির্মাণ করা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
এছাড়া প্রকল্প এলাকায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা এবং আবাসিক ও শিল্প কারখানায় নতুন সংযোগও দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের জন্য চার একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ১৬৩ কিলোমিটার ৩৩ কেভি ও ৩০০ কিলোমিটার ১১ কেভি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১৬৩ কিলোমিটার ৩৩ কেভি লাইন ও ৩০০ কিলোমিটার ১১ কেভি লাইন মেরামত করা হবে।
এদিকে এ প্রকল্পের আওতায় ১২টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র (জিআইএস) নির্মাণ এবং ২টি ৩৩/১১ কেভি এআইএসও তৈরি করা হবে।
একটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র (রুরাল টাইপ) নির্মাণ ও ৪টি আপ-গ্রেডেশন ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া চারটি রিনোভেশন ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশনও নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ৮০ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন কেবল স্থাপন করা হবে বলেও সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৪