ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৪
গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরে

ঢাকা: গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিতে শুরু করেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ৩টি কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।



সেলিম মাহমুদ বাংলানিউজকে জান‍ান, বিতরণ কোম্পানিগুলো জানুয়ারি থেকে দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে গণশুনানি শেষ করতে চান তারা। যদি গণশুনানি শেষ করতে পারেন তাহলে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বিইআরসি’র এই সদস্য আরও জানন, পেট্রোবাংলা এককভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো। সেই প্রস্তাবটি অক্টোবরে ফিরিয়ে দিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে পৃথকভাবে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়। সেই অনুযায়ী ৩টি কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে। অপর ৩টি কোম্পানি সোমবারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে জমা দিতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

কোন কোন কোম্পানি প্রস্তাব জমা দিয়েছে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি ড. সেলিম মাহমুদ। তবে বিইআরসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে তিতাস ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র প্রস্তাব পেয়েছেন তারা।

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিসটেম লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবের বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি বিইআরসি সূত্রটি।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাজাহান দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। ঠিক কত শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানা গেছে, পেট্রোবাংলার নিয়ন্ত্রণাধীন বিতরণ কোম্পানিগুলো পেট্রোপেট্রোবাংলার দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রস্তাব জমা দিচ্ছে।

অক্টোবরে আবাসিক খাতে এক চুলার গ্যাসের দাম ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা এবং দুই চুলা গ্যাসের দাম ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। এছাড়া পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে আবাসিকে মিটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে প্রতি হাজার ঘনফুট ১৪৬ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩৫ টাকা বা ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিএনজিতে প্রতি হাজার ঘনফুটে ৮৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ১৩২ টাকা ৬৭ পয়সা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিল্প গ্রাহকদের ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২২০ টাকার (৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ) প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৭৯ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ টাকা (৫ দশমিক ২৪ শতাংশ), বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ২৬৮ টাকা শূন্য ৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা (৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

চা বাগানে ১৬৫ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা (২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ), ক্যাপটিভে ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা বাড়িয়ে ২৪০ টাকা (১০২ দশমিক ৯৪ শতাংশ) এবং সার কারখানায় ৭২ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা (৯ দশমিক ৭১ শতাংশ) করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যদিকে ১৫ অক্টোবর বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ১৮.১২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সেই প্রস্তাবে কিছু তথ্য অসম্প‍ূর্ণ থাকায় ফেরৎ পাঠানো হয়েছে বলে বিইআরসি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।