ঢাকা: সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এর কারণ সম্পর্কে মুখ খুলতে চাইছেন না বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ কায়কাউস বাংলানিউজকে বলেছেন, আমরা বৈঠক করেছি।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, কমিটি গঠনের পর পরই একাধিক দফায় নিজের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তথ্য উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কখন বন্ধ হয়ে গেছে, কেন গেছে তথ্য পাওয়ার পর বোঝা যাবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
সোমবার বেলা ১২টায় আবার বৈঠকে বসবে তদন্ত কমিটি। তারা নির্ধারিত সময় ৩ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে চান বলেও জানিয়েছেন মোহাম্মদ হোসাইন।
মন্ত্রণালয় গঠিত ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি পিজিসিবিও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) তপন কুমার রায়কে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন পিজিসিবির তত্বাবধায়ক প্রকৌলশলী ইকবাল আজম।
এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য তমাল চক্রবর্তী ও শাহীনুল ইসলাম খান। এছাড়া পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসানও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
ঘটনার পর থেকেই প্রথম দিকে বলা হয়েছিলো ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ ট্রিপ (হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়) করায়। এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিকেলের দিক থেকেই ভোল্ট পাল্টে ফেলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারা। এখন তারা বলছে তদন্তের আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টাও মুখ খুলছেন না। তারা বলেছেন, বিষয়টি হাইলি টেকনিক্যাল তাই টেকনিক্যাল মূল্যায়ন ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
২০০৭ সালে সিডরের সময় একবার সারা দেশে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিলো। তখন হয়েছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। আর শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হঠাৎ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
বিকেল নাগাদ সামান্য সরবরাহ শুরু হলেও আবার হাই ভোল্টের কারণে উৎপাদন প্রায় শূন্যে নেমে যায়। রাত ৯টা নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। মধ্যরাতে গিয়ে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৪