ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ভারতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪
ভারতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব বাংলাদেশের ভারতের একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

ঢাকা: দেশে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে ভারত সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দেশটির পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে প্রতিবেশী দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম। তৌফিক ইলাহী এ সপ্তাহে ভারত সফর করছেন।

খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি বিষয়ক সম্পর্ক জোরদার করতে, যৌথভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের এই প্রস্তাব বাংলাদেশ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ঢাকা বলছে, ভারত এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি কয়লা ব্লক বরাদ্দ দেবে, আর এতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে।

রামপালে বর্তমানে যে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে তারই ধারাবাহিকতায় ভারতের অভ্যন্তরে এমন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্থাপনে আগ্রহী বাংলাদেশ। ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

“ভারত সরকার যদি আমাদের একটি কয়লা ব্লক দেয়, তাহলে আমরা ভারতের অভ্যন্তরেই যৌথভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারি, ঠিক রামপালে যেমনটি করা হচ্ছে,” ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী।

এ সপ্তাহে ভারতের কয়লামন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাবটি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জ্বালানি উপদেষ্টা।

তৌফিক-ই ইলাহী বলেন, ভারত এই প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

অব্যাহত চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সম্পন্ন হলে এই খাতে একটি বড় ধরনের ‍অগ্রগতি হবে বলেই মনে করছে সরকার।

প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী চার বছরের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি উৎপাদন শুরু করবে বলেই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এটি বিপিডিবি ও এনটিপিসি’র একটি যৌথ প্রকল্প। যা বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

এরই মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এর পরিমান ১০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে দুই পক্ষে আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।