ঢাকা: ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) গ্রাহক পর্যায়ে গড় ১৮.৬২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। আর কৃষিখাতে সবচেয়ে বেশি ৬৯.৩২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে ডেসকো এ প্রস্তাব করে।
তবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি জানিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে না।
এদিকে, কৃষিতে বর্তমানে ইউনিট প্রতি দর রয়েছে ২.৫১ পয়সা। এটাকে বর্ধিত করে ইউনিট প্রতি ৪.২৫ টাকা করার প্রস্তাব করে ডেসকো।
ক্ষুদ্রশিল্পে ১৯.২৭ থেকে ২০.৫৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া আবাসিক খাতেও সাতটি ধাপে ৬.৬১ থেকে ১৫.৮১ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।
এদিকে, রোববার সকালে একই স্থানে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ১৫.৬০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। কৃষি সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম সবচেয়ে কম ৪.৭১ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন আরইবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন।
গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা আরইবি’র মোট গ্রাহক রয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ, যা দেশের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর ৭০ শতাংশ। আরইবি’র গ্রাহকদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই (৯২ লাখ) আবাসিক।
আবাসিক খাতে ৩০ ইউনিট পর্যন্ত নতুন ধাপ করার প্রস্তাব করেছে আরইবি। এই ধাপে কোনো দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি।
আবাসিক খাতে ১ থেকে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বর্তমান দর ৩.৮৭ টাকা থেকে ১১.১১ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪.৩০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
৭৬ থেকে ২২০ ইউনিট পর্যন্ত ৫.০১ টাকা থেকে ১৫.৬১ শতাংশ বাড়িয়ে ৫.৫০ টাকা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৫.১৯ টাকা থেকে ১৫.৬১ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ টাকা করার প্রস্তাব করে আরইবি।
৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ৫.৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬.৫০ টাকা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ৮.৫১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা এবং ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে আবাসিক গ্রাহকদের বর্তমান দর ৯.৯৩ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০.৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।
আরইবির প্রস্তাবে ক্ষুদ্র শিল্পে ২১.২৯ শতাংশ, বৃহৎশিল্প ২২.৯৫ শতাংশ এবং হাই ভোল্ট ৩৩ কেভিতে ২৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
গণশুনানি গ্রহণ করছেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান এ আর খান, সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, রহমান মুরশেদ ও মাকসুদুল হক।
২০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) গণশুনানি শুরু করে বিইআরসি। প্রথম দিনে বিপিডিবির পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর, দ্বিতীয় দিন বুধবার (২১ জানুয়ারি) পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও ওয়েস্ট-জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) প্রস্তাবের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়।
তৃতীয় দিন (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। বিপিডিবি গ্রাহক পর্যায়ে ২২.৪৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
** গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫.৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব
** পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৫.১৬ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ
** ভেতরে গণশুনানি, বাইরে গণঅবস্থান
** গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ওপর প্রথমবারের মতো গণশুনানি
** সেচে ৬৯.৩২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
** বিদ্যুতের দাম ১৭.৮৫ শতাংশ বাড়াতে চায় ডিপিডিসি
** পিডিবি’র বিদ্যুতের মূল্য ৩.০৯ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ
** বিদ্যুতের দাম ২২.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব বিপিডিবির
** লোকসানের ভাগ নিতে টানাটানি