জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিগত ১২ বছরে দেশে মোট ৮১টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ছয় হাজার ৮শ ৬৫ মেগাওয়াট।
এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৭শ ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
রোববার (২৮ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে বেগম পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদকে এ সব তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বিগত ১২ বছরে বিদ্যুৎখাতে ৮১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ২০০৪ সালে ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে ২শ ১০ মেগাওয়াটের, ২০০৫ সালে ২৮ মার্চ টঙ্গীতে ১শ ৫ মেগাওয়াটের, ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ২শ ৫০ মেগাওয়াটের, একই বছর ১৬ ডিসেম্বর সামিট পাওয়ারের (আরইবি) ১শ ৫ মেগাওয়াটের এবং ওই বছরের জুন মাসে আরপিসিএলের ২শ ১০ মেগাওয়াট কেন্দ্র ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়া ২০০৮ সালে ১৬৪ মেগাওয়াটের ৫ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ২০০৯ সালে ৩৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০ সালে ৭৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র , ২০১১ সালে এক হাজার ৭৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ২০১২ সালে ৯৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ২০১৩ সালে ৬৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ২০১৪ সালে ৬৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ২০১৫ সালে ৮১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
সেলিম উদ্দিনের আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ভাড়ায় নির্মিত ৩১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যমান এবং কেন্দ্রগুলোর বিপরীতে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার ১৩৭ মেগাওয়াট।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৭৪৮ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৪টি রেন্টাল এবং এক হাজার ৩৮৮ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ১৭টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
মো. আয়েন উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে বর্তমানে সরকার কোনো ভর্তুকি দিচ্ছে না
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র কয়লা খনি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এ কয়লা খনিটি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কো. লি.-এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
খনির আয়-ব্যয় ও লাভের প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মোট আয় হয়েছে, ৮২৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। একই বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি লাভ করেছে ৩৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বেগম পিনু খানের আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্থাপিত একমাত্র কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। দেশে সৌরবিদ্যুৎ থেকে বর্তমানে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
এসকে/এসএম/এবি
** বিএসটিআই পরীক্ষিত পণ্য গ্রহণ করবে ভারত