ঢাকা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে চাইলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের কর্মশালায় অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
মানুষ বেসরকারি কোম্পানির বিদ্যুৎপ্ল্যান্ট স্থাপনের বিরোধীতা করেছে- এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ওখান থেকে সরে এসেছি। প্রশাসন সেখানে তদন্ত করছে। আমাদের চট্টগ্রাম পাওয়ার ডিভিশন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান যদি ওখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র না করে অন্য কোথাও স্থাপনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করে, সেটিও চিন্তা করে দেখবো।
তিনি বলেন, একটি প্রাইভেট কোম্পানি সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তাদের জমিতে। আমরা তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনবো।
এর আগে কর্মশালায় বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, জনবহুল এ দেশে ব্যবস্থাপনা বেশ কঠিন। এখানে শহর বড় হচ্ছে। গ্রামের মানুষ নগর ও শহরমুখী। জমির দাম বাড়ছে। অথচ বিদ্যুতের সেবা বাড়াতে হলে জমির প্রয়োজন। ট্রান্সমিশন বাড়ানো প্রয়োজন, অথচ মানুষ জমি ছাড়বে না। এ বিষয়টি ব্যবস্থাপনার জন্য মাস্টার প্ল্যন থাকতে হবে। সামনের দিনগুলোতে পরিবেশ এবং বিদ্যুতের সমন্বয় হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিপু আরো বলেন, ধানমন্ডিতে আন্ডার গ্রাউন্ডে বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে উত্তরা, গুলশান, বনানীতেও মাটির নিচে বিদ্যুতের তার চলে যাবে। পরবর্তীতে সিলেট, চট্টগ্রামের মতো শহরেও আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল যাবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা; এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এমএন/এসএইচ