সোমবার (২৭ মার্চ) তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হচ্ছেন- নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) রফিউদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এএইচএম নুরুল হুদা, ব্যবস্থাপক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) খন্দকার নজিবুল আলম।
কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, উপ-কেন্দ্র নির্মাণে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ডুমনি এলাকায় জমি কেনার উদ্যোগ নেয় ডেসকো। জমির দরদাম চূড়ান্ত ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে সার্চ কমিটি করা হয়। অভিযুক্ত তিনজনই ওই কমিটিতে ছিলেন।
সার্চ কমিটির পরামর্শ অনুসারে ডুমনি এলাকায় ৯১ লাখ টাকার বিনিময়ে চল্লিশ শতাংশ জমি কেনা হয় ২০০৯ সালের ২২ মার্চ। ওই টাকা পরিশোধ করা হয় ডেসকো’র তহবিল থেকে। জমি কেনার পর দখল নিতে গেলে বিপত্তি দেখা দেয়। যে সীমানা দেখানো হয়েছে, সেখানে ওই খতিয়ান বা দাগের অস্তিত্ব নেই। আবার দাগ নম্বর ধরে খোঁজ করলে ওই মালিকের কোনো জমি পাওয়া যায়নি বলে ডেসকো সূত্র জানিয়েছে।
অর্থাৎ পুরো ভুয়া জমি দেখিয়ে দলিল করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর নানাভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে। তাতে অনেকটাই সফলও হন অভিযুক্তরা।
কিন্তু সম্প্রতি ডেসকো’র চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব উল আলমের নজরে এলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আর এতেই নড়াচড়া শুরু হয়।
সোমবার তিন অভিযুক্তকেই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
এমনকি এতোদিন যারা এ অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভুয়া জমির বিক্রেতা কবির মোল্লা ও সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডেসকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহীদ সারওয়ার বাংলানিউজকে জানান, ডেসকো’র নামে জমির দলিল করা হয়। কিন্তু সে জমি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে যাদের মাধ্যমে জমি কেনা হয়েছিল তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এসআই/এএসআর