সোমবার (০৩ জুলাই) দুপুরে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মি. জুকিয়া আমানো বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট) নির্মাণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিহ্রাস ও নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আইএইএ’র মিশন বাংলাদেশে কাজ করছে এবং তারা পৃথিবীর সেরা প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময় করছে। এই পথে থাকলে বাংলাদেশ সেরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে এবং তার জনগণের জন্য সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে বলে আমরা মনে করি, যোগ করেন তিনি।
জুকিয়া আমানো আরো বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে বিদ্যুৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা উৎপাদনের অন্যতম একটি পদ্ধতি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। আইএইএ’র মাইলস্টোন পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করে বাংলাদেশ এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০১০ সালে আইএইএ’র মিশন বাংলাদেশ পরিদর্শনে এসে যে শর্তগুলো দিয়েছিল তা সঠিকভাবে পূরণ এবং সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।
মতবিনিময় সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমান, ভিয়েনার রাষ্ট্রদূত আবু জাফর, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান ড. নাইয়ুম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসাইন, প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা রূপপুর পারমানবিক বিদুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে পাবনা জেলার পাকশী পৌরসভার বাংলা কুঠিরে আইএইএ’র মহাপরিচালক মি. জুকিয়া আমানো, প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ও আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বৈঠক করেন।
বৈঠকের আগে প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পের মূল কাজ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
এসআই