ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অব পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রেলপথটি নির্মিত হবে। রেল মন্ত্রণালয় সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শুধুমাত্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত মালবাহী ট্রেন সার্ভিস চালুর জন্য নতুন করে ২২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হবে। এর মধ্যে ব্রডগেজ থেকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে ১৭ দশমিক ৫২ কিলোমিটার।
এছাড়াও সাড়ে ৪ কিলোমিটার লুপ লাইন, একটি বি শ্রেণির রেলওয়ে স্টেশন, সাতটি কালভার্ট, ১৩টি লেভেল ক্রসিং ছাড়াও গেটসহ থাকছে সিগন্যালিং ব্যবস্থা।
কর্মকর্তারা বলছেন, রেলপথটি নির্মাণে ৩৩৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেল লাইন সংষ্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অব পয়েন্ট থেকে রূপপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ ও মিটার গেজ রেলপথ স্থাপন করা হবে।
ঈশ্বরদী ইয়ার্ডের ৬ কিলোমিটারসহ লোকসেডের দুই কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইনকেও ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে বলে জানান তারা।
সূত্র জানায়, ঈশ্বরদীর ৩৭ নম্বর লেভেল ক্রসিং গেট থেকে পরিত্যক্ত পাইলট লাইন পর্যন্ত নতুন করে আরও ৯ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য রেলপথ সংস্কার করা হবে।
রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সরকারের একটি মেগা প্রকল্প উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রকল্পের ভারি মালামালও অনেক ব্যয়বহুল। রেলপথটি নির্মিত হলে মালামালগুলো নিরাপদে ও যথাসময়ে আমরা প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সাধারণত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অনেক মালামাল আছে যেগুলো তাৎক্ষণিক লাগবে। কিন্তু সড়কে অনেক সময় যানজট থাকায় দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।
‘দ্রুত প্রকল্প এলাকায় মালামাল পৌঁছানো ছাড়াও নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে রেলপথকে বেছে নেওয়া হয়েছে,’ মনে করেন এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এমআইএস/এমএমএ