বুধবার (০৯ আগস্ট) রাজধানীর পেট্রো সেন্টারে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কিনেছিলেন।
উল্লেখ্য, বিবিয়ানা, জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার গ্যাস ফিল্ড বিক্রি করতে চায় মার্কিন কোম্পানি শেভরন। সম্প্রতি চীনা কোম্পানির সঙ্গে শেভরন বাংলাদেশ একটি প্রাথমিক চুক্তি করেছে।
তবে পেট্রোবাংলা প্রথম থেকেই নিজেরা তা কেনার কথা বলে আসছে। এ নিয়ে রশি টানাটানির মধ্যে জ্বালানি সচিবের এমন বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, জালালাবাদের দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। গতবছর পর্যন্ত গড়ে ২৭০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয়। বিবিয়ানা ক্ষেত্রের দৈনিক উত্তোলন সক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
এর বিপরীতে শেভরন গেল বছর পর্যন্ত উত্তোলন করছে ১ হাজার ২৩০ থেকে ১ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বর্তমানে এই তিনটি ক্ষেত্র থেকে ৪৫ শতাংশ গ্যাস উত্তোলন হয়েছে।
সেমিনারে জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বলেন, গ্যাসের জন্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে-একবছর পর কেউ আর এ কথা বলতে পারবে না। আগামী বছরে চট্টগ্রাম ৩৫০টি কারখানায় নতুন করে সংযোগ দেওয়া হবে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের গ্যাস ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি উদ্ভাবনী ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট ছোট ভ্যাসেলে করে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত খুবই যুক্তিযুক্ত হয়েছে। আমরা যদি ছোট ভ্যাসেলে করে নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিতে পারি, তাহলে গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমতুল মুনিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭/আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা
এসআই/এমএ